আমি কানিজ ফাতেমা পিয়া, জন্ম, বেড়ে উঠা, লেখাপড়া সবই ভোলাতে।বিয়ের পর রামপুরা ঢাকাতেই বসবাস। সংসার সামলানোর পাশাপাশি একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করি। কিন্তু করোনার কারনে আগের সেই ব্যস্ততা নেই, বাচ্চার স্কুল নেই, বাসায় বসে মনে হচ্ছিলো কিছু করতে পারলে মন্দ হত না, নিজের যদি আলাদা একটা পরিচয় তৈরি করতে পরি তাহলে ভাল হয়। ঠিক তখনি ফেসবুক গ্রুপ উইমেন এন্ড ই-কমার্স ( উই) এর সাথে পরিচয়। উইতে জয়েন করে দেখি এখানে হাজারো উদ্যোক্তা। সবার গল্প সবার পোস্ট পড়ে আরো অনুপ্রাণিত হই, উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করার চেষ্টা করি। রাজিব স্যারের কথামতো প্রতিদিন অনেক পোস্ট পড়া, লাইক কমেন্টের মাধ্যমে নিজেকে একটিভ রাখা। যেটা এখনও করে যাচ্ছি। কারন একটিভ এর কোন বিকল্প নেই। বেশি বেশি সময় দিয়ে প্রতিনিয়ত জানার চেষ্টা করতেছি।
উইর হাত ধরেই আমার অনলাইন বিজনেসে যুক্ত হওয়া।এবং সেই যাত্রা ২০২০ সালের ৬ই জুলাই হতে শুরু। ক্যারিয়ারে ই-কমার্স বেছে নিয়েছি এই কারনে যে এখানে চাকরির তুলনায় ব্যক্তি স্বাধীনতা বেশি। নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিতে পারবো। ভাল লাগা মন্দ লাগা সবই নিজের।তাছাড়া উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হলে অনেকেই আমাকে চিনবে আমার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারবে।আমার পরিচিতি বাড়বে সেই সাথে ইনকামও বাড়বে।খাবার নিয়ে আমার ফেসবুক পেইজ- ‘খেতে মজা কিচেন’।এবং শাড়ি নিয়ে ফেসবুক পেইজ–‘ঝলমলে’
আমার তৈরি খাবার খেয়ে কেউ যখন খুশি হয় বা রিভিউ দেয় তখন আনন্দে মনটা ভরে যায়। আমার সিগনেচার আইটেম রসগোল্লা রসমালাই। সেই সাথে আরো মিষ্টি আইটেম কাচাগোল্লা, কালোজাম রয়েছে।তাছাড়া বর্তমানে আমি শাড়ি নিয়েও কাজ করছি।
বর্তমান পন্যের সাথে আগামীতে কিচেনের সাথে জড়িত অন্যান্য পন্যও বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে।তাছাড়া “ঝলমলে” নামে শাড়ি নিয়ে আমার আরেকটি ফেসবুক পেইজ রয়েছে।আমার উদ্যোগ সবার কাছে প্রশংসিত হবে এটাই আমার স্বপ্ন।কেউ কাউকে বেশিদিন মনে রাখেনা,কর্মের কারনেই একজন আরেকজনকে মনে রাখে, কর্মই মানুষকে বাচিয়ে রাখে।